বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটারের সকল যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কক্ষে স্থাপন না করার কারনে কোনো প্রকার অপারেশন হচ্ছে না।
এক্সরে অপারেটরের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে অব্যহৃত ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি টেকনেশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে প্যাথলজির কার্যক্রম। একদিকে অযত্ম-অবহেলায় সরকারের কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে খুড়িয়ে চলছে উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবা।
উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্য থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পরও চিকিৎসা সেবার মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা সেবা বঞ্চিতরা।
সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য আনা মেডিকেল যন্ত্রপাতি কি কারণে ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হচ্ছে তা সঠিক করে বলতে পারছেন না কেহ। তবে হাসপাতালে জরুরি অপারেশনের জন্য যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা।
সূত্রমতে, ২০০৬ সালে,জেলার মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করনের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হলেও ২০১৭ সালে নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনের পর পর এখানে সরকার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি, এক্সরে, আল্টাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেন। অদৃশ্য কারণে তা স্থাপন না করে ফেলে রেখে প্রায় অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায় এক্সরে অপারেটর না থাকায় ২০০৬ সাল থেকে এক্সরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং টেকনেশিয়ান না থাকায় ২০১৭ সাল থেকে প্যাথলজিতে কোনো প্রকার পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে সাধারণ রোগীদের বাইরে থেকে বেশি অর্থ খরচ করে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
গরীব রোগীরা পরীক্ষা করাতে না পারায় চিকিৎসকরা অনুমান করেই চিকিৎসাপত্র প্রদানে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ৪মাস আগে এই হাসপাতালে একজন ডেন্টাল সার্জন যোগদান করন এখানে ডেন্টাল ইউনিট না থাকার কারনে রোগীরা কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। এছাড়া ৫০ শয্যার হাসপাতালে ২৮জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত রয়েছেন ১৭জন।
করোনা ইউনিট কিংবা আইসোলোশন বেড না থাকায় কভিড-১৯ রোগীরা চিকিৎসা সেবা বিরত রয়েছেন। এছাড়া কভিড ও নন- কোভিড রোগীদের প্রথক না ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সাধারণ রোগীরা ঝুকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইয়েদুর রহমান জানান খুব শীঘ্রই হাসপাতালে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি কার্যক্রম চালু করা হবে।
তবে হাসপাতালের ৩১ শয্যার পুরাতন ভবন ও ডক্টর’স কোয়ার্টারের একটি ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
Leave a Reply